১. শিশুর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ

অটিজম শিশুদের সাথে প্রাথমিক যোগাযোগের জন্য রুটিন এবং গঠনমূলক সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সঙ্গে ধৈর্য সহকারে কথা বলুন এবং তাদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন।

২. ভিজ্যুয়াল সাপোর্ট ব্যবহার করুন

অটিজম শিশুদের জন্য ভিজ্যুয়াল সাপোর্ট (যেমন ছবি বা ভিডিও) ব্যবহার করা তাদের বোঝার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাদের জন্য ছবি বা কার্ড ব্যবহার করুন যাতে তারা নির্দেশনা বা কথাবার্তা বুঝতে পারে।

৩. রুটিন তৈরি করুন

অটিজম শিশুর জন্য রুটিন একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তাদের খাবার, শোয়ার, খেলার সময় ইত্যাদি নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুসরণ করাতে হবে।

৪.মনোযোগী শোনা ও সহানুভূতি দেখান

শিশুর কথা শুনুন এবং তাদের অনুভূতির প্রতি সহানুভূতি দেখান। এর মাধ্যমে শিশুর মনস্তাত্ত্বিক শান্তি এবং আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

৫. তাদের নিজস্ব কৌতূহলকে উৎসাহিত করুন

শিশুর আগ্রহ এবং কৌতূহল অনুসারে শিক্ষা এবং কার্যকলাপ তৈরি করুন। তাদের পছন্দের বিষয়গুলির মাধ্যমে শেখানোর চেষ্টা করুন।

৬. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরি করুন

অটিজম শিশুর জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। কিছু খাবার তাদের মেজাজ ও আচরণে প্রভাব ফেলতে পারে, তাই পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করুন।

৭. স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমানোর কৌশল

অটিজম শিশুর মধ্যে স্ট্রেস বা উদ্বেগ হতে পারে। তাদের জন্য শিথিলকরণ কৌশল, যেমন গভীর শ্বাস প্রশ্বাস বা নরম আলো ব্যবহার করে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করুন।

৮. সামাজিক দক্ষতা উন্নয়ন

অটিজম শিশুদের জন্য সামাজিক দক্ষতা শেখানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সঠিকভাবে সামাজিকভাবে আবেগ প্রকাশ করা এবং অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা।

৯. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করুন

শিক্ষার সময় শিশুর জন্য একটি শান্ত, কম বিকর্ষণমূলক পরিবেশ তৈরি করুন, যাতে তারা সহজে মনোযোগ দিতে পারে।

১০. স্কুল এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা

অটিজম শিশুকে স্কুলে পাঠানোর জন্য শিক্ষক এবং পিতা-মাতার মধ্যে সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের পঠনপাঠন এবং সামাজিক দক্ষতা গড়তে এই সহযোগিতা সাহায্য করবে।